চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভবনের নীচ তলায় প্রধান প্রবেশ পথের পাশে অবস্থিত “স্যান্ডর ডায়ালাইসিস সার্ভিসেস বাংলাদেশ” প্রাইভেট লিমিটেড কর্তৃপক্ষ এবং সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার রেহনুমা ও নার্স-টেকনিশিয়ানদের রোগীর প্রতি দুর্ব্যবহার, অবহেলা এবং ভুল চিকিৎসার মাধ্যমে ডায়ালাইসিস গ্রহণকারীর ৬০ বছর বয়সী একজন বৃদ্ধা কিডনী রোগী ‘সাফিয়া খানম’ কে হত্যার অভিযোগ এনেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
১৫ জুন (বুধবার) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস. রহমান হলে তাঁর পরিবারের সকল সদস্য উপস্থিত হয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে তাঁর স্বামী এম.এ মাসুদ ও তাঁর ছেলে সাংবাদিক তানভীর আহমেদ গত ৫জুন রাতে ডায়ালাইসিস গ্রহণের জন্য তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে ডায়ালাইসিস কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার পর স্যান্ডর কর্তৃপক্ষের ডাক্তার রেহনুমা, নার্স-টেকনিশিয়ান কর্তৃক রোগী এবং রোগীর সাথে থাকা আত্মীয়দের প্রতি দুর্বব্যহার এবং রোগীকে কিভাবে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে তার বিশদ বর্ণনা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রদত্ত বক্তব্যে রোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে রোগীর এই মৃত্যুকে হত্যাকান্ড হিসেবে অবহিত করা হয় এবং এর জন্য ‘স্যান্ডর কর্তৃপক্ষ এবং ডাক্তার রেহনুমার’ বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানানো হয়। স্যান্ডর কর্তৃপক্ষের সাথে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চুক্তি বাতিল করে এই ডায়ালাইসিস কেন্দ্রটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনী বিভাগের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য প্রয়াত রোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে জোর দাবী জানান রোগীর স্বামী এম.এ মাসুদ। স্যান্ডর কর্তৃপক্ষকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মারফত ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ আদায়ের মাধ্যমে উক্ত টাকা কিডনী রোগীদের কল্যাণে ব্যয় করার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনের একপর্যায়ে নিহতের স্বজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, ডিজি হেলথ, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বি.এম.এ), স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ), চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জনসহ সকলের প্রতি এই ঘটনার বিষয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান।