বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর হয়েছেন আব্দুর রউফ তালুকদার। আগামী ৩ জুলাই বর্তমান গভর্নর ফজলে কবিরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
শনিবার (১১ জুন) সরকারি ছুটির দিনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ তাঁকে চার বছরের জন্য নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। আগামী ৪ জুলাই তাঁকে যোগ দিতে বলা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ এবং অন্যান্য সব প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে আগামী ৪ জুলাই তাঁর যোগদানের তারিখ থেকে চার বছরের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর পদে নিয়োগ দেওয়া হলো।
আরও বলা হয়েছে, আব্দুর রউফ তালুকদার গভর্নর পদে নিয়োজিত থাকাকালে সরকারের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির শর্ত মোতাবেক বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাবেন।
আব্দুর রউফ তালুকদার ১৯৮৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে (বিসিএস ১৯৮৫ ব্যাচ) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। দীর্ঘ বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে বিভিন্ন সরকারি পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে পাবলিক ফাইন্যান্স এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় বিশেষত্বের কারণে তার কর্মজীবনের বেশির ভাগ সময়ই কেটেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগে।
২০১৮ সালের ১৮ জুলাই অর্থ সচিবের দায়িত্ব নেওয়ার আগে অর্থ বিভাগে ১৮ বছরেরও বেশি সময় কাজ করেছেন আব্দুর রউফ তালুকদার। এ ছাড়া দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি শিল্প মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং তথ্য মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ হাইকমিশনে কুয়ালালামপুরে প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) হিসেবেও কাজ করেছেন।
রউফ তালুকদার প্রায় চার বছর জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে সফলতার সঙ্গে অর্থ সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্কার প্রক্রিয়ায় তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। বিশেষ করে বাজেট সংস্কার, সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, অবসরভোগী সরকারি চাকুরেদের ইএফটির মাধ্যমে পেনশন প্রদান এবং সঞ্চয়পত্রের অটোমেশনে তার ভূমিকা ছিল অনেক। ২০২১ সালে ‘ন্যাশনাল ইন্টিগ্রিটি অ্যাওয়ার্ড’ পান আব্দুর রউফ তালুকদার।
এদিকে ২০১৬ সালে চার বছরের জন্য গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পান সাবেক অর্থ সচিব ফজলে কবির। সে হিসাবে তার মেয়াদ ২০২০ সালের ১৯ মার্চ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এর ৩৪ দিন আগে ২০২০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি গভর্নর হিসেবে তার মেয়াদ ৩ মাস ১৩ দিনের জন্য বাড়িয়ে দেয় সরকার। তখন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ৬৫ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত তিনি গভর্নর থাকবেন। তার আগেই দায়িত্বের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানো হয়।