পর্যাপ্ত মিল্ক কালেকশন সেন্টার না থাকায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন যশোর জেলার দুগ্ধ খামারিরা। ক্রমশই তারা দুধের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। খামারিরা দুধ বিক্রি করছেন ৩৫ টাকা দরে, অন্যদিকে খুচরা বাজারে সেই দুধ ভোক্তাকে কিনতে হচ্ছে ৭০ টাকায়।
এ সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা দ্রুত সরকারি উদ্যোগে যশোরে পর্যাপ্ত মিল্ক কালেকশন সেন্টার তৈরি করার দাবি জানিয়েছেন।
যশোরের ফরিদপুর গ্রামের দুগ্ধ খামারি রিয়াজ মাহমুদ খান পাভেল জানান, যশোরে সরকারিভাবে দুধ সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান মিল্কভিটার কোনো কালেকশন সেন্টার নেই। এ কারণে তাদেরকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর করতে হয়। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানও ন্যায্য দাম দেয় না। এ কারণে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
একই এলাকার হুমায়ুন কবীর বলেন, বর্তমানে গোখাদ্যের দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। এ অবস্থায় আমরা এক রকম দিশেহারা হয়ে পড়েছি। এমন অবস্থায় সরকার জরুরি পদক্ষেপ না নিলে দুগ্ধ খামারিরা পথে বসে যাবে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, যশোরের শার্শা উপজেলায় মিল্কভিটার কালেকশন সেন্টার রয়েছে। এর বাইরে মণিরামপুরে আরও একটি মিল্ক কালেকশন সেন্টার নির্মাণের কাজ চলছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার রাশেদুল ঢাকা পোস্টকে বলেন, যশোর জেলায় বছরে দুধের চাহিদা রয়েছে ২.৫২ লাখ মেট্রিক টন। এখানে উৎপাদন হয় ২.১৮ লাখ মেট্রিক টন। ঘাটতি রয়েছে ০.৩৪ মেট্রিক টন।