বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, ‘এমন সময় আমরা বাজেট দিচ্ছি যখন মাত্র করোনার ধাক্কা কাটিয়ে ওঠা শুরু করেছি। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে পুরো অর্থনীতি, পুরো বিশ্ব বিপর্যস্ত। তবে আমরা আশা করেছিলাম গতানুগতিক বাজেটের বাইরে গিয়ে এ বাজেটে কিছু পাব। যে বাজেট সাধারণ মানুষের কথা বলবে, সাধারণ মানুষের জীবনে যে নিত্য নৈমিত্তিক সমস্যাগুলো অ্যাড্রেস করবে। কিন্তু আনফরচুনেটলি আমরা সে রকম বাজেট পাইনি।’
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে জাতীয় সংসদে সাংবাদিকদের দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আপনারা জানেন যে আমাদের আমদানি ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে, রপ্তানি আয় সেই তুলনায় কম। মূল্যস্ফীতি আকাশচুম্বী, ডলারের দাম টাকার তুলনায় অনেক বেশি বেড়ে গেছে, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না। জব লেস গ্রোথ হচ্ছে, নানান সমস্যার মধ্যে দিয়ে এ বাজেট দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা আশা করেছিলাম- বাজেটে এই বিষয়গুলো বিবেচনা করা হবে। কিন্তু আমরা দেখলাম সেই একই গতানুগতিক বাজেট। উচ্চাবিলাসী বাজেট এবং যে বাজেটে ২ লক্ষ্য ৪৫ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি থাকবে। এই ঘাটতি আপনি কীভাবে পূর্ণ করবেন? এই ঘাটতি পূরণে কর বাড়াতে হবে, কিন্তু করের আওতা বাড়ছে না। অথচ দেখতে পাচ্ছি কর জিডিপির অনুপাতে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ সর্বনিম্ন।
রুমিন বলেন, তাই এই রকম অবস্থা নিয়ে বাজেটের যে লক্ষ্য তা পূর্ণ করা হবে বলে আমরা মনে করি না। এই বাজেট স্বজনতোষী বাজেট। এই বাজেট ধনীকে আরও ধনী করার এবং সাধারণ মানুষকে আরও বেশি নাজুক করার বাজেট।’